"प्रयोगकर्ता:हिमाल सुबेदी/प्रयोगस्थल" का संशोधनहरू बिचको अन्तर

कुनै सम्पादन सारांश छैन
चिनोहरू: मोबाइल सम्पादन मोबाइल वेब सम्पादन
कुनै सम्पादन सारांश छैन
चिनोहरू: मोबाइल सम्पादन मोबाइल वेब सम्पादन
 
पङ्क्ति १०४:
[[बीच बाटोमा ब्युँझेर]]
[[कुमारी जात्रा]]
 
== গণমাধ্যমে বাংলা ভাষা আন্দোলন ==
ঢাকায় ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়। তবে সেখানে বলা হয়, “ঢাকায় ভাষার জন্য শিক্ষার্থীদের উপর পাকিস্তানি পুলিশের গুলি বর্ষণ।” {{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}
 
পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ‘বাংলা’ নাকি ‘উর্দু’—কী হবে! পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে এই বিষয়টি পূর্ব বাংলার জনগণের কাছে সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত প্রশ্নে রূপ নেয়। তখন বিভিন্ন সংবাদপত্রে এই বিতর্কের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। সংবাদপত্রগুলো রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও সংবাদ প্রকাশ করে ভাষার ইস্যুটিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
 
পাকিস্তান সৃষ্টির আগে থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন যে একমাত্র উর্দুই হবে নতুন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা। মুসলিম লীগ-সমর্থক পত্রিকাগুলোয় পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নির্ধারণ প্রসঙ্গে বেশ কিছু প্রবন্ধ ছাপা হয় এই সময় কলকাতা থেকে। [[দৈনিক ইত্তেহাদ]] বাংলা ভাষার পক্ষে তখন প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে। দৈনিক আজাদও ভুমিকা রেখেছিল৷ তারা বাংলা ভাষার সমর্থনে বেশ কিছু প্রবন্ধ ছাপায়।
 
দেশভাগের আগে দৈনিক আজাদে বেশ কিছু প্রবন্ধ ভাষার প্রশ্নে প্রকাশিত হয়। তবে ব্যাপারে পত্রিকাটির সম্পাদকীয় নীতি শুরু থেকেই ছিল রহস্যঘেরা। আজাদে কখনো বাংলা ভাষার পক্ষে আবার কখনো বিপক্ষে বক্তব্য প্রকাশিত হতে দেখা যায়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত ভাষার প্রশ্নে পত্রিকাটির কোনো সুনির্দিষ্ট অবস্থান ছিল না।
 
১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে তমদ্দুন মজলিসের পক্ষ থেকে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা-না উর্দু?’ শিরোনামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। এই পুস্তিকায় [[দৈনিক ইত্তেহাদ]] সম্পাদক আবুল মনসুর আহমদের প্রবন্ধও ছিল।
 
শুরু থেকেই বাংলা ভাষার তীব্র বিরোধিতা করে আসছিল মর্নিং নিউজ। এই পত্রিকায় ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করে অবিরত প্রবন্ধ, নিবন্ধ, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় ও খবর প্রকাশিত হতো।
 
যখন থেকে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে। তখন থেকে বাংলা ভাষার প্রতি পাকিস্তান সরকারের দূর্নীতির বিষয়ে তমদ্দুন মজলিসের কয়েকজন নেতা তৎকালীন মন্ত্রী ফজলুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করতে যান। সেময় মন্ত্রী এসব বিষয়কে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে দায় এড়ান। ইত্তেহাদ তাঁর এই বক্তব্যের ওপর ‘ভুলের পুনরাবৃত্তি’ শীর্ষক সম্পাদকীয় প্রকাশ করে।
 
পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি । এখানে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ও ইংরেজির সঙ্গে বাংলাকে গণপরিষদের অন্যতম ভাষা হিসেবে ব্যবহার করার দাবি তোলেন। ১৯৪৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আনন্দবাজার পত্রিকা এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি অমৃত বাজার পত্রিকা এই খবর প্রকাশ করে ৷
 
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণপরিষদে খাজা নাজিমুদ্দিন বলেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ অধিবাসীর মনোভাব রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুর পক্ষে। ১৯৪৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে [[দৈনিক আজাদ]] তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। এই সম্পাদকীয়র বক্তব্যটি বাংলা ভাষার পক্ষে পত্রিকাটির জোরালো সমর্থন নির্দেশ করে। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের সময় পত্রিকাটি সর্বতোভাবে উর্দুকেই সমর্থন করে তাও একই বছরে৷
 
কিছু পত্রিকা বাংলা ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে গঠিত সংগ্রাম পরিষদে ‘[[ইনসাফ]]’, ‘[[জিন্দেগী]]’ ও ‘[[দেশের দাবী]]’ পত্রিকা থেকে তিনজন করে প্রতিনিধি নেওয়া হয়।
 
১৯৪৮ সালের পর বাংলা ভাষা আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা ষড়যন্ত্র করে। বাংলা ভাষায় আরবি হরফ প্রবর্তনের চেষ্টা করে যা এই ষড়যন্ত্রের একটি রূপ। দৈনিক আজাদে বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের খবর বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হয় ১৯৫০ সালের ২৪ মে'তে।
 
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালেই ছাত্রছাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। তৎকালীন আমতলায় সভা বসেছিল । ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে-বিপক্ষে চলে তর্ক-বিতর্ক। একপর্যায়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ঘোষণা আসে। স্লোগান ওঠে, ‘১৪৪ ধারা ভাঙতে হবে’, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’। আন্দোলন শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ গুলি চালায়। এবং ভাষার জন্য অনেকে জীবন দেন।
 
২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গুলিবর্ষণের ঘটনার পর ভাষার প্রশ্নে আগের রহস্যের জাল ছিন্ন করে দৈনিক আজাদ। সেদিন সন্ধ্যায় বিশেষ টেলিগ্রাম প্রকাশ করে দৈনিক আজাদ । ‘ছাত্রদের তাজা খুনে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত’ব্যানার হেডলাইন করা হয়। পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। ঘটনার প্রতিক্রিয়া নিয়ে পরবর্তী কয়েক দিন দৈনিক আজাদ প্রচুর সংবাদ ছাপে। দৈনিক আজাদ ভাষা আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা নেয়।
 
অন্যদিকে মর্নিং নিউজ ছিল উর্দু ভাষার সমর্থক। পত্রিকাটি ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উগ্র প্রচারণা চালিয়েছিল বলে জানা যায়। ২১ ফেব্রুয়ারির ঘটনাকেও তারা অন্য রূপ দিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি খবর প্রকাশ করে। ২২ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ জনতা ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে অবস্থিত মর্নিং নিউজের প্রেস ও অফিস জ্বালিয়ে দেয়। বাংলা ভাষাপ্রেমী জনতার ক্ষোভের আগুনে পুড়ে ছাই হয় মর্নিং নিউজ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/amp/opinion/article/1087831/সংবাদপত্রে-ভাষা-আন্দোলন|শিরোনাম=সংবাদপত্রে-ভাষা-আন্দোলন|সংগ্রহের-তারিখ=২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০|তারিখ=২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200221022825/https://www.prothomalo.com/amp/opinion/article/1087831/%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%2582%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B7%25E0%25A6%25BE-%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25A8|আর্কাইভের-তারিখ=২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>